মিকি মাউসের প্রথম প্রকাশ হয় ১৫ই মে ১৯২৮ সালের একটি 'Plane Crazy' নামের শোতে। এখানে অল্প সময়ের জন্য দেখানো হয়েছিল মিকি মাউসকে। তবে বিশ্বের জনগণের কাছে মূল চরিত্র হিসেবে মিকি মাউসের অফিসিয়াল ভাবে পরিচয় হয় ১৯২৮ সালের নভেম্বর মাসে Steam Boat Willie শোতে। এই শর্ট ফিল্মে মিকি মাউসের সঙ্গী চরিত্র মিনি মাউসকেও দর্শকদের সাথে পরিচয় করানো হয়েছিল। ১৯২৮ সালে মিকি মাউসের শোতে কোন সাউন্ড ছিল না সব ফিল্ম ছিল শব্দহীন।
১৯২৯ সালে 'কার্নিভাল কিড শো'তে মিকি মাউসকে শব্দের সঙ্গে জনগণের সামনে আনা হয়েছিল। এরপর ১৯৩৩ সালে মিকি মাউসের চরিত্রকে আরো মজাদার করে তুলতে তার গলায় সাউন্ড দেওয়া হয়। জানলে অবাক হতে হয় যে মিকি মাউসের গলার আওয়াজ দিতেন ওয়াল্ট ডিসনি নিজেই। মিকি মাউসের সফলতার পিছনে এই আওয়াজের কিন্তু বড় ভূমিকা ছিল। এই শব্দের আকর্ষণীয়তার জন্য মিকি মাউজ তার প্রতিদ্বন্দ্বী কার্টুন চরিত্র 'Felix the Cat' কে খুব সহজেই পেছনে ফেলে দেয়।
এরপর সময়ের সাথে সাথে মিকি মাউস কার্টুনের কিছু কিছু পরিবর্তন আসে। হাতে সাদা গ্লাভস ব্যবহার করা হয় যাতে হাত ও দেহের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়। তার চোখেও পরিবর্তন করা হয়। কালার ছবি আসার পরে তার প্যান্ট লাল ও জুতো হলুদ করে দেওয়া হয়। মিকি মাউসের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাকে কমিকস, মিউজিকাল শো, ভিডিও গেমস ইত্যাদি নানা জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে।
এমনকি 'Walt Disney' র বড় শো গুলিতে মিকি মাউস কে হোস্ট হিসেবে পরিচয় করানো হয়। মিকি মাউসের হাত ধরে অনেক কার্টুন চরিত্রের আগমন হয়েছে যেমন:- প্লুটো, ডোনাল্ড ডাক প্রভৃতি। তবে ওয়াল্ট ডিসনির সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হল এই মিকি মাউস। নতুন প্রজন্মের আগমনের সাথে সাথে মিকি মাউসকে নতুন নতুন ভাবে জনগণের সামনে আনার চেষ্টা করে চলেছে ডিজনি কোম্পানি। কারণ ডিজনি কোম্পানির আজ এত বড় হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে এই মিকি মাউস চরিত্রটির।
Post a Comment